ঐতিহ্যবাহী দড়ির খাট, যেটিকে অনেক এলাকায় ‘চারপাই’, ‘খাট’, ‘মাচা’ বা ‘পাটের খাট’ নামেও ডাকা হয়, এটি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত একটি আসবাব। এই খাটের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর কাঠ বা বাঁশের ফ্রেম এবং দড়ি দিয়ে বোনা আসন। নিচে ঐতিহ্যবাহী দড়ির খাট সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলো:
গঠনতত্ত্ব (Structure):
-
ফ্রেম: সাধারণত কাঠ (যেমন সেগুন, গামার, বা নিম কাঠ) দিয়ে তৈরি চারটি পা ও চারটি দণ্ড।
-
দড়ি/পাটের রশি: খাটের মূল অংশটি তৈরি হয় শক্ত দড়ি বা পাট দিয়ে বোনা প্যাটার্নে।
-
জোড়া দেওয়া পদ্ধতি: দড়ি ফ্রেমে বাঁধা হয় নির্দিষ্ট কৌশলে, যাতে এটি শক্ত থাকে এবং সময়মতো ঢিলা করে আবার বাঁধা যায়।
ব্যবহার:
-
ঘুমানোর জন্য খাট হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
গ্রীষ্মকালে বাতাস চলাচল করে বলে এটি ঠান্ডা ও আরামদায়ক।
-
অনেকে খোলা বারান্দা বা উঠানে বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এই খাট ব্যবহার করেন।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য:
-
গ্রামবাংলার পারিবারিক পরিবেশে এটি একধরনের সামাজিকতার প্রতীক।
-
অতিথি আপ্যায়ন, গল্প করা, সন্ধ্যায় বিশ্রাম – সবকিছুর কেন্দ্রে থাকত এই খাট।
-
অনেকে এখন এই খাটকে নান্দনিক শৌখিন আসবাব হিসেবেও ঘরের সাজে ব্যবহার করছেন।